অর্ধনগ্ন হয়ে নিউটাউনে প্রতিবাদ জানালেন বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা

8th February 2020 কলকাতা
অর্ধনগ্ন হয়ে নিউটাউনে প্রতিবাদ জানালেন বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা


আজ নিউটনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রাজ্যপালের সামনে অর্ধনগ্ন হয়ে থালা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা।

বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া নিয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষক শিক্ষিকা তারা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল। এবং আদালতে তারা জানিয়েছিল তাদের দাবি-দাওয়ার না মানা হলে তারা একটি অবস্থান বিক্ষোভ করবে সেই মতো আদালত তাদের ১৫ দিনের অনুমতি দেয়।  গত ২৭ জানুয়ারি থেকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা তারা কারিগরি ভবনের উল্টোদিকে রাস্তার পাশে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আজ তাদের অবস্থান বিক্ষোভ ১৩ দিনের পড়লো। এবং ১৩ দিনের মাথায় তারা যখন খবর পায় রাজ্যপাল নিউটাউনের কলেজে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন। শিক্ষকদের দাবি এরপর তারা অর্ধনগ্ন অবস্থায় থালা হাতে নিয়ে রাস্তার পাশে বসে পড়ে সারিবদ্ধ ভাবে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। এবং ঠিক সেই সময় রাজ্যপাল রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ও তার আছে সারিবদ্ধ ভাবে আন্দোলন দেখাচ্ছিলেন সেটি রাজ্যপালের নজরে আসে শিক্ষকদের দাবি। এরপর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় টেখনোসিটি থানার পুলিশ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

বৃত্তিমূলক যৌথ মঞ্চের দাবীর প্রস্তাবঃ

১) পার্ট টাইম ও কন্ট্রাকচুয়াল প্রথার বিলোপ করে শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের স্থায়ী পদ গঠন।

২) সকলের জন্য ১২ মাস এর বেতন। নিয়োগের সময়ে উল্লিখিত নুন্যতম যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস। (শিক্ষক দের 'গ্রুপ বি', প্রশিক্ষক দের 'গ্রুপ সি' এবং নৈশ প্রহরী দের 'গ্রুপ ডি' - এর পদমর্যাদা ও বেতন)।

৩) কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক নিয়োগ কমিশন গঠনের মাধ্যমে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ চালু করা।

৪) সাধারণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের  সমান সুযোগ সুবিধা আমাদের বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের প্রদান। এরই সাথে নবম ও দশম শ্রেনীতে ভোকেশনাল চালু করা এবং VIII+ এর স্বল্পমেয়াদী কোর্স গুলিকে ১ বছরে রূপান্তরিত করা।

      ছবি - পিয়ালী ঘোষ





Others News

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) :  পর্ণশ্রীতে মা-ছেলেকে নৃশংভাবে খুনের কিনারা। ধৃতদের একজন সন্দীপ দাস(৩২) ও অন্যজন সঞ্জয় দাস(৪৪)। বাড়ি মহেশতলা থানার শ্যামপুরের ঘোষপাড়া তে। জেরায় তারা অপরাধের কথা কবুল করেছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।

গ্রেফতার মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। ধৃতদের বাড়ি মহেশতলায়। জেরায় অপরাধ কবুল করেছে ধৃতরা। ধৃতদের অনেক টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল। মৃতের পরিবারের কাছে অনেক টাকা, গয়না ঘরে ছিল এমনই ধারণা ছিল ধৃতদের। পরিকল্পনা করেই বাড়িতে গিয়েছিল ধৃতরা। ধৃতরা জানত, ওই সময়ে তাদের দিদি সুস্মিতা মন্ডল একা থাকত। মাকে খুনের সময় ছেলে তমজিৎ মন্ডল দেখে ফেলে, সেইজন্যই ছেলেকে খুন। জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা।
ধৃত সন্দীপ দাস ও অন্যজন সঞ্জয় দাস কে আগামীকাল আলিপুর আদালতে তোলা হবে।